হাদিস শিক্ষা

হাদিস (আরবি: الحديث‎‎) বা আছার (আরবি: الأثر‎‎) হলো মূলত ইসলামের শেষ বাণীবাহকের বাণী ও জীবনাচরণ। হাদিসের উপদেশ মুসলমানদের জীবনাচরণ ও ব্যবহারবিধির অন্যতম পথনির্দেশ। কুরআন ইসলামের মৌলিক গ্রন্থ এবং হাদিসকে অনেক সময় তার ব্যাখ্যা হিসেবেও অভিহিত করা হয়। হাদিস বিষয়ে পণ্ডিত ব্যক্তিকে মুহাদ্দিস বলা হয়।

ইসলামে হাদিস সংরক্ষণ ও বর্ণনা করার গুরুত্ব

হাদীসে বলা হয়েছে,

আল্লাহ পাক সেই ব্যক্তিকে সতেজ, ও সমুজ্জ্বল রাখুন, যে আমার কথাগুলো শুনেছে, সংরক্ষণ করেছে এবং অপরজনের নিকট তা পৌঁছে দিয়েছে। (আবু দাউদ)

বলা হয়, যে ব্যক্তি মূলত অর্থেই হাদিস সন্ধানী হয় তার চেহারা সজীব বা নুরানি হয়ে ফুটে ওঠবে। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে,

হে আল্লাহ, আমার উত্তরসূরিদের প্রতি রহম করুন। সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুাল্লাহ! আপনার উত্তরসূরি কারা? তিনি বলেন, তারাই যারা আমার হাদিস বর্ণনা করে ও মানুষের নিকট শিক্ষা দেয়।

হাদিসে বলা হয়েছে,

“নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন তারাই আমার নিকটবর্তী হবে যারা অধিক হারে আমার প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করে।” (তিরমিজি)

এই হাদিসটি ইবনে হিব্বান তার হাদিসের গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন এবং বলেছেন এই হাদিস এর ফায়েজ ও বরকত লাভ করবে নিশ্চিতভাবে মুহাদ্দিসানে কেরাম ও হাদিসের শায়খগণ। কারণ তারাই অধিক হারে হাদিস পড়ে, লিখে। যতবার হাদিস লিখবে বা পড়বে ততবার তিনি প্রিয়নবীর প্রতি দরূদ সালাম পড়বেন ও লিখবেন। এর ফলে রোজ কিয়ামতে সহজেই তারা প্রিয়নবীর নিকটবর্তী হতে পারবেন।

 

 

অন্যান্য ইসলামী বই পুস্তক অধ্যয়ন

আল্লাহ্‌ সুবহানু ওয়া তা’আলা সুরা আসরে সময়ের কসম দিয়ে বলেন, “মানুষ নিশ্চয় ক্ষতিগ্রস্থ” সময় ধাবমান জীবনের অস্তিত্ব থেকে, যাকে ঠেকানোর কোন উপায় নাই, একমাত্র তাকে কাজে লাগিয়ে যে টুকু ফায়দা লুটে নেয়া যায়, ফলে যখনই অবসর পাওয়া যায় তখনই কিছু একটা ভাল নিয়ে সময়কে পার করতে হবে। তা হয়তবা আল্লাহ্‌র জিকির বা কাকেও ভাল কথা/কাজ আর একান্তে ভাল ধর্মীয় বই পুস্তক পড়ে নিজেকে মশগুল রাখা। আশা করা যায় কিরামান কাতেবিন খাতায় হাঁধর্মী আমলই লিখবে। আর যদি ব্যস্ততার মধ্যেই থাকেন তবে তাও যেন ধনাত্মক কর্মই হয়।

Read More